কঠিন সময়ে একমাত্র ইরান ইয়েমেনের জনগণের পাশে ছিল
সৌদি আগ্রাসনের বছরগুলোতে দারিদ্রপীড়িত ইয়েমেনের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন জানানোয় ইরানের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন তেহরানে নিযুক্ত ইয়েমেনি রাষ্ট্রদূত ইব্রাহিম মোহাম্মাদ আদ-দেইলামি।
সৌদি আগ্রাসনের বছরগুলোতে দারিদ্রপীড়িত ইয়েমেনের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন জানানোয় ইরানের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন তেহরানে নিযুক্ত ইয়েমেনি রাষ্ট্রদূত ইব্রাহিম মোহাম্মাদ আদ-দেইলামি। তিনি ইরানের বার্তা সংস্থা মেহরকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ইরান হচ্ছে একমাত্র দেশ যে কিনা কঠিন সময়ে ইয়েমেনি জনগণের পাশে ছিল।
রাষ্ট্রদূত তার দেশের ওপর আগ্রাসনের সময়ে বিশ্বের কোন দেশ কী ভূমিকা পালন করেছে সে সম্পর্কে কথা বলেন। দেইলামি বলেন, “আমাদের দেশের ওপর সৌদি-মার্কিন আগ্রাসনকে একটি দেশ ছাড়া বিশ্বের বেশিরভাগ দেশ সমর্থন জানিয়েছে; আর ওই দেশটি হচ্ছে ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান।”
তিনি বলেন, ইরান শক্তভাবে ইয়েমেনের জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে এবং আন্তর্জাতিক ফোরামগুলোতে আন্তরিকতার সঙ্গে ইয়েমেনি জনগণের দুঃখ-দুর্দশা তুলে ধরেছে। দেইলামি বলেন, ইয়েমেনের জনগণ ইরান ছাড়া আর কারো কাছ থেকে সহযোগিতা পায়নি।
ইয়েমেনের রাষ্ট্রদূত বলেন, সৌদি আগ্রাসনের প্রথম দিন থেকে ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান আগ্রাসন বন্ধ ও অবরোধ প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছে, ইয়েমেনে মানবিক ত্রাণ পাঠিয়েছে এবং ইয়েমেনের অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে হস্তক্ষেপ করেননি।
ইয়েমেনের জনপ্রিয় আনসারুল্লাহ আন্দোলন ‘ইরানের অনুসারী এবং তেহরানের কাছ থেকে সমরাস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম গ্রহণ করেছে’ বলে যে অভিযোগ প্রচলিত রয়েছে তা কঠোর ভাষায় প্রত্যাখ্যান করেন দেইলামি।
তিনি বলেন, ইয়েমেনের জনগণ আগ্রাসী সৌদি বাহিনীর বিরুদ্ধে যে শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল তার অবমূল্যায়ন করতে এ ধরনের প্রচারণা চালানো হয়েছে এবং একথা প্রতিষ্ঠিত করে দেয়ার চেষ্টা হয়েছে যে, ইয়েমেন পুরো ইরানের নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে। তবে বাস্তবতা হচ্ছে, ইয়েমেনে সৌদি আগ্রাসনের ভয়াবহতা থেকে বিশ্ববাসীর দৃষ্টি ভিন্নদিকে সরানোর লক্ষ্যে এ ধরনের প্রচারণা চালানো হয়েছে এবং বাস্তবতার সঙ্গে এই প্রচারণার কোনো মিল নেই।#
পার্সটুডে
.