ওপেকে মতবিরোধ সৃষ্টির পশ্চিমা ষড়যন্ত্র নস্যাত করতে হবে
তেল রপ্তানিকারক দেশগুলোর সংস্থা ওপেকের সদস্যদের মধ্যে মতভেদ সৃষ্টি করার পশ্চিমা ষড়যন্ত্রের ব্যাপারে সতর্ক করে দিয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট সাইয়্যেদ ইব্রাহিম রায়িসি।
তেল রপ্তানিকারক দেশগুলোর সংস্থা ওপেকের সদস্যদের মধ্যে মতভেদ সৃষ্টি করার পশ্চিমা ষড়যন্ত্রের ব্যাপারে সতর্ক করে দিয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট সাইয়্যেদ ইব্রাহিম রায়িসি। তিনি শনিবার তেহরান সফররত ওপেকের মহাসচিব হিসাম আল কায়েসের সঙ্গে এক বৈঠকে এ সতর্কবাণী উচ্চারণ করেন।
প্রেসিডেন্ট রায়িসি বলেন, সুনির্দিষ্ট কিছু পশ্চিমা দেশ ওপেকভুক্ত দেশগুলোর ঐক্যে ফাটল ধরানোর চেষ্টা করছে। সদস্য দেশগুলো নিজেদের মধ্যে ঐক্য শক্তিশালী করার মাধ্যমে ওই ষড়যন্ত্র নস্যাত করে দিতে পারে।
তিনি বলেন, ওপেকভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে গঠনমূলক সহযোগিতা এই সংস্থার সাফল্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। ওপেকে ইরানের ধারাবাহিক গঠনমূলক সহযোগিতার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে রায়িসি বলেন, ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান ওপেকে ঐক্য ও সহযোগিতা শক্তিশালী করতে সব সময় চেষ্টা চালিয়ে এসেছে।
বৈঠকে ওপেকের মহাসচিব তার সংস্থায় ইরানের ইতিবাচক সহযোগিতার ভুয়সী প্রশংসা করেন।তিনি বলেন, ওপেক সদস্যদের মধ্যে বন্ধন দৃঢ় করার কাজে তেহরান সব সময় প্রচেষ্টা চালিয়ে গেছে।ওপেকভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতার মাধ্যমে বিশ্বের তেলের বাজারে স্থিতিশীলতা ফিরে আসবে বলে কায়েস আশা প্রকাশ করেন।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কারণে ইরানের অপরিশোধিত তেলের উৎপাদন তুলনামূলক কম রয়েছে। তবে চলতি মাসের গোড়ার দিকে ইরানের তেলমন্ত্রী জাওয়াদ ওউজি বলেছেন, ইরানের তেল রপ্তানি দৈনিক ৩০ লাখ ব্যারেল ছাড়িয়ে গেছে- যা ২০২১ সালেও ২৪ লাখ ব্যারেল ছিল।অবশ্য, ২০১৮ সালে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আরোপের আগে ইরান দৈনিক ৪০ লাখ ব্যারেল তেল রপ্তানি করত।#
পার্সটুডে
.