ইসলামি সংস্কৃতি ও যোগাযোগ সংস্থার বিবৃতি
ইমাম খোমেইনি (রহ.)-এর মৃত্যুবার্ষিকী এবং ১৫ খোরদাদ (৫ জুন) উপলক্ষে
ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের মহান প্রতিষ্ঠাতা এবং ১৫ খোরদাদের (৫ জুনের) রক্তক্ষয়ী অভ্যুত্থানের নেতার হৃদয়বিদারক মৃত্যুর ৩৩তম বার্ষিকীতে আমরা ইমাম খোমেইনিকে (ঐক্যের প্রচারক,ন্যায়কামী,নিপীড়নবিরোধী,স্বাধীনতাকামী ও আধিপত্যবাদবিরোধী) স্মরণ করছি।
গৌরবময় ইসলামি বিপ্লবের স্থপতি ইমাম খোমেইনির মহান বুদ্ধিবৃত্তিক ব্যবস্থা ও সুমহান আদর্শ এবং তাঁর যোগ্য উত্তরসূরি হযরত আয়াতুল্লাহ আল-উযমা খামেনেয়ি (মুদ্দাযিল্লুহুল আলি)-এর যথাযথ দিকনির্দেশনা একটি ইতিবাচক নতুন ইসলামি-ইরানি সভ্যতার প্রতিশ্রুতি দেয়।
বর্তমানে এবং ইসলামি বিপ্লবের দ্বিতীয় ধাপের প্রাথমিক বছরগুলোতে, চার দশকেরও বেশি সময় ধরে বিশ্ব আধিপত্যবাদ ও আন্তর্জাতিক ইহুদিবাদের বিদ্ধেষপরায়ণ নীতি এবং ইরানের বিপ্লবী জাতির বিরুদ্ধে সব ধরনের নিষেধাজ্ঞা,যুদ্ধ,সন্ত্রাস ও অর্থনৈতিক সমস্যা চাপিয়ে দেওয়া সত্ত্বেও আমাদের দেশ অভ্যন্তরীণ,আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক শত্রুদের অশুভ পরিকল্পনার মোকাবিলায় আগের চেয়েও অনেক বেশি শক্তিশালী।
ইরানের শিক্ষিত ও বিপ্লবী জাতির শত্রুরা তাদের সমস্ত অপরাজনীতি সত্ত্বেও দেশকে অগ্রগতির মহান শিখরে অগ্রসর হওয়া থেকে বিরত রাখতে ব্যর্থ হয়েছে এবং শত্রুতামূলক অপপ্রচার ও ফেতনার বিস্তার ঘটিয়ে,হতাশা সৃষ্টি করে এবং এই ভদ্র ও নিরীহ জনগণের জীবনযাত্রার সমস্যাকে অপব্যবহার করে- যাদের সকলেই সে সম্পর্কে অবগত-তারা বিশ্বের ইসলামি ও স্বাধীন জাতিগুলোর মধ্যে ইরানের ইসলামি অগ্রগতির মডেলের প্রচার রোধ করার চেষ্টা করছে।
স্বাধীনতার মিথ্যা দাবিদার এবং সংস্কৃতিবিরোধী নেতারা ইসলামি বিপ্লবের আদর্শ (জিহাদে তাবয়ীন) এবং বিপ্লবের ইমামদের চিন্তা-চেতনা প্রচারের ব্যাপারে চরমভাবে ভীত এবং তারা ইরানোফোবিয়া, ইসলামোফোবিয়াকে উসকে দিয়ে একটি নতুন ইসলামি-ইরানি সভ্যতা গঠন এবং এতদঞ্চলে ও বিশ্বে এই গর্বিত মডেলের প্রবেশ রোধ করার চেষ্টা করছে।
ইসলামি সংস্কৃতি ও যোগাযোগ সংস্থা ইমাম খোমেইনি (রহ.)-এর বিদেহী রুহের প্রতি সালাম ও অভিবাদন জ্ঞাপন এবং মরহুম ইমামের যোগ্য উত্তরসূরির সাথে পুনরায় চুক্তি নবায়ন এবং আল্লাহর দিন (ইয়াউমুল্লাহ)-১৫ খোরদাদকে স্মরণ করার মাধ্যমে সারা বিশ্বের ইসলামি বিপ্লবপ্রেমীদেরকে তাকিদ করে যে, ইরানের কৃতজ্ঞ ও বিপ্লবী জাতি ইমাম খোমেইনি (রহ.)-এর পবিত্র আত্মার বরকতে এবং ইমাম খামেনেয়ির (মুদ্দাযিল্লুহুল আলি) প্রজ্ঞাপূর্ণ নেতৃত্ব এবং শহীদদের রক্তের ফলকে এই পবিত্র বৃক্ষকে রক্ষা করার মাধ্যমে একটি নতুন ইসলামি-ইরানি সভ্যতা এবং ইসলামি ব্যবস্থার মহত্ত্ব,সম্মান ও উচ্চশীর অবস্থার দিকে শক্তিশালীভাবে অগ্রসর হবে এবং নিজের উচ্চ সংস্কৃতির মাধ্যমে বিশ্ব আধিপত্যবাদী ব্যবস্থাকে চ্যালেঞ্জ করবে।
.