ইরান-তুরস্ক সম্পর্কে নতুন অধ্যায়ের সূচনা হলো: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ান বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রায়িসির তুরস্ক সফরের মধ্যদিয়ে বিপক্ষীয় ও আঞ্চলিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়েছে।
ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ান বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রায়িসির তুরস্ক সফরের মধ্যদিয়ে বিপক্ষীয় ও আঞ্চলিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়েছে।
বুধবার ইরানের প্রেসিডেন্ট তুরস্ক সফরে যান এবং প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগানের সঙ্গে বৈঠক করেন। রায়িসির এ সফরকালে ইরান ও তুরস্কের মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ১০টি সহযোগিতামূলক চুক্তি সই হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে- সংস্কৃতি, গণমাধ্যম, যোগাযোগ, রেল ও বিমান পরিবহন, বিদ্যুৎ, জ্বালানি, অর্থনীতি এবং মুক্ত বাণিজ্য অঞ্চল গঠন।
এ সম্পর্কে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির আব্দুল্লাহিয়ান এক্স পেইজে দেয়া এক পোস্টে বলেছেন, "দ্বিপক্ষীয় চুক্তিগুলো সৎপ্রতিবেশীসুলভ ও বৈচিত্র্যকরণ নীতির আওতায় করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, অর্থনৈতিক, শুল্ক, শিল্প, সীমান্ত বাজারের সম্প্রসারণ এবং মুক্ত অঞ্চল, সাংস্কৃতিক, পর্যটন, সীমান্ত নিরাপত্তা এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের মতো বিষয়।”
তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোগানের আমন্ত্রণে প্রেসিডেন্ট রায়িসি তুরস্ক সফর করেন। সফরকালে ইরানি প্রেসিডেন্ট এরদোগানের সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ইরান এবং তুরস্ক হচ্ছে আঞ্চলিক দুই প্রভাবশালী দেশ যারা একসাথে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংকট সমাধানের ক্ষেত্রে কাজ করতে পারে। তিনি জানান, মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলের সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা জোরদার করার বিষয়ে তেহরান ও আঙ্কারা একমত হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেন, গাজা উপত্যকায় ইসরাইলের যে অমানবিক হামলা চলছে তা বন্ধ এবং স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। তিনি গাজায় চলমান গণহত্যার বিরুদ্ধে কঠোর ভাষায় নিন্দা জানান। পাশাপাশি সিরিয়ায় যে মার্কিন সামরিক উপস্থিতি রয়েছে তারও বিরোধিতা করেন।#
পার্সটুডে