ইরানের সঙ্গে কৌশলগত সম্পর্ক স্থাপন করার নির্দেশ দিয়েছেন রাজা সালমান
ইরানের প্রেসিডেন্ট সাইয়্যেদ ইব্রাহিম রায়িসি বলেছেন, ইহুদিবাদী ইসরাইলের মতো ইসলামের শত্রুরা সৌদি আরবের সঙ্গে ইরানের সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠায় ক্ষুব্ধ হয়েছে।
ইরানের প্রেসিডেন্ট সাইয়্যেদ ইব্রাহিম রায়িসি বলেছেন, ইহুদিবাদী ইসরাইলের মতো ইসলামের শত্রুরা সৌদি আরবের সঙ্গে ইরানের সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠায় ক্ষুব্ধ হয়েছে। তেহরান সফররত সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল বিন ফারহান শনিবার প্রেসিডেন্ট রায়িসির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, মুসলিম বিশ্বের দু’টি প্রভাবশালী দেশ ইরান ও সৌদি আরবের মধ্যে সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠাকে বিশ্বের প্রতিটি মুসলিম দেশ স্বাগত জানিয়েছে। তিনি সৌদি আরবের সঙ্গে সকল ক্ষেত্রে সম্পর্ক ও সহযোগিতা সর্বোচ্চ পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
প্রেসিডেন্ট রায়িসি বলেন, “মুসলিম বিশ্বের শত্রুরা বিশেষ করে ইহুদিবাদী ইসরাইল তেহরান-রিয়াদ ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ হয়েছে। ইহুদিবাদীরা শুধু ফিলিস্তিনের শত্রু নয় বরং তারা গোটা মুসলিম বিশ্বের জন্য হুমকি।” তিনি আরো বলেন, কিছু দেশ ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করেছে বলেই তেল আবিবের নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়ে যায়নি কারণ ওই সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়েছে মুসলিম উম্মাহর ইচ্ছার বিরুদ্ধে।
বিগত বছরগুলোতে বাহরাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সুদান ও মরক্কো মার্কিন মধ্যস্থতায় ইসরাইলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করেছে। ফিলিস্তিনিদের পাশাপাশি গোটা মুসলিম ব্শ্বি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।
সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতে ইরানের প্রেসিডেন্ট আরো বলেন, আঞ্চলিক দেশগুলো আলোচনা ও সংলাপের মাধ্যমে নিজেদের মধ্যকার সমস্যাগুলোর সমাধান করতে পারে এবং এক্ষেত্রে বহিঃশক্তির হস্তক্ষেপের কোনো প্রয়োজন নেই।
সাক্ষাতে সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তেহরান ও রিয়াদ তাদের সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি স্বর্ণযুগে প্রবেশ করেছে। ইরানের সঙ্গে সৌদি আরবের সহযোগিতা শুধু এই দুই দেশের নয় সেইসঙ্গে গোটা মধ্যপ্রাচ্যের স্বার্থ রক্ষা করবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
ফারহান বলেন, সৌদি রাজা সালমান ইরানের সঙ্গে তার দেশের সম্পর্ককে কৌশলগত পর্যায়ে উন্নীত করতে যা যা করা প্রয়োজন তার সবকিছু করতে নির্দেশ দিয়েছেন। সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হোক কিংবা এ অঞ্চলের উন্নতি হোক তা চিহ্নিত কিছু দেশ চায় না। ইরান ও সৌদি আরবের মধ্যে সহযোগিতা শক্তিশালী হলে এ অঞ্চলে কোনো বহিঃশক্তির হস্তক্ষেপের সুযোগ থাকবে না বলে তিনি মন্তব্য করেন।#
পার্সটুডে
.