ইরানের মরু পর্যটনের সম্ভাব্য প্রবেশদ্বার বাফক
বাফকের মরূদ্যান শহর ইরানের মরুভূমি পর্যটনের কেন্দ্রে পরিণত হওয়ার ভালো সম্ভাবনা রাখে। দেশটির মরূ পর্যটনকে ঘিরে এই দারুণ সম্ভাবনার কথা ব্যক্ত করেন বাফকের পর্যটন প্রধান লেইলি রঞ্জবার।
শনিবার তিনি ব্যাখা করে বলেন, ১ হাজার হেক্টরেরও বেশি এলাকা জুড়ে বিস্তৃত বাফক মরুভূমি ইরানে মরু পর্যটনের কেন্দ্রে পরিণত হওয়ার দুর্দান্ত সক্ষমতা রাখে। বাফকের মনোরম মরুভূমি গেল দুই সপ্তাহের নোরুজের (ইরানি নববর্ষ) ছুটিতে ৩ লক্ষাধিক পর্যটককে স্বাগত জানায়। ইরানি এই কর্মকর্তা বলেন, করোনভাইরাস বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার কারণে এই বছর বাফক মরুভূমিতে আসা লোকের সংখ্যা দশ শতাংশের বেশি বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। শীতের দিনে যখন এই অঞ্চলে আবহাওয়া বেশিরভাগই হালকা থাকে, তখন মরুভূমির প্রাকৃতিক দৃশ্য প্রকৃতি প্রেমীদের দারুণভাবে আকৃষ্ট করে। বাফক মরুভূমি কাভির-ই দার আনজির নামেও পরিচিত। ইয়াজদ প্রদেশের বাফক কাউন্টির কাছে অবস্থিত একটি মরুভূমি। এটি পঁচাত্তর কিলোমিটার দীর্ঘ এবং বিশ কিলোমিটার চওড়া ও একশ পঞ্চাশ বর্গ কিলোমিটার বিস্তৃত। আর্গিলেসিয়াস খনিজ এবং লবণের জলাভূমি এই মরুভূমির ষাট শতাংশ জায়গা দখল করে আছে। প্রকৃতপক্ষে এই মরুভূমির দক্ষিণ ও উত্তর-পশ্চিম অংশ আর্গিলাসিয়াস খনিজ ভূমিতে আচ্ছাদিত। যদিও মরুভূমি ভ্রমণের জন্য সবচেয়ে নিরুৎসাহিত কিছু জায়গা হতে পারে।তবে হাইকিং, ক্যাম্পিং, রক ক্লাইম্বিং এবং ন্যাচারাল ফটোগ্রাফির জন্য সারা বিশ্ব জুড়ে ক্রমবর্ধমান সংখ্যক লোক শুষ্ক অঞ্চলে ভিড় করছে। যারা গতি পরিবর্তনের জন্য খুঁজছেন তারা বছরের পর বছর ধরে মরুভূমির পর্যটনের দিকে ঝুঁকছে। ইরান মরুভূমিতে ভ্রমণের জন্য সেরা কিছু স্থান তুলে ধরেছে এবং সবচেয়ে জনপ্রিয় গন্তব্যগুলির মধ্যে রয়েছে দাশত-ই কাভির, মারাঞ্জাব মরুভূমি, রিগ-ই জেন (জিনের টিউন) এবং শাহদাদ মরুভূমি। কেউ কেউ বলে যে শীতকালে শীত অনুভূত হয় না বা উপস্থিত হয় না এখানে। অন্যদিকে, জনবসতিহীন মরুভূমির জাঁকজমক এবং সৌন্দর্য পৃথিবীর অন্য কোথাও অতুলনীয়। সূত্র: তেহরান টাইমস।
.