ইরাকে একজন মার্কিন সেনা উপস্থিতিও কাম্য নয়: ইরানের সর্বোচ্চ নেতা
ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী বলেছেন, আমেরিকা পৃথিবীর কোনো দেশের বন্ধু নয়, তাই ইরাকে একজন মার্কিন সেনার উপস্থিতিও কাম্য নয়।
ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী বলেছেন, আমেরিকা পৃথিবীর কোনো দেশের বন্ধু নয়, তাই ইরাকে একজন মার্কিন সেনার উপস্থিতিও কাম্য নয়।
তিনি গতকাল (শনিবার) তেহরান সফররত ইরাকি প্রেসিডেন্ট আব্দুল লতিফ রশিদের সঙ্গে এক বৈঠকে এ মন্তব্য করেন। বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে ইরানের প্রেসিডেন্ট সাইয়্যেদ ইব্রাহিম রায়িসি উপস্থিত ছিলেন।
সর্বোচ্চ নেতা বলেন, “মার্কিনীরা কারো বন্ধু নয় এমনকি তারা তাদের ইউরোপীয় বন্ধুদের প্রতিও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ নয়।” ইরাকের উন্নতি, অগ্রগতি ও স্বাধীনতাকে ইরানের জন্য ‘অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, “দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার বিস্তার এবং বিদ্যমান চুক্তিগুলোর বাস্তবায়ন দু’দেশের জনগণেরই স্বার্থ রক্ষা করবে।”
ইরান ও ইরাকের সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ করার বিরুদ্ধে ঘোরতর শত্রুতা কাজ করছে জানিয়ে আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী বলেন, যদি দু’দেশের মধ্যে শক্তিশালী ঐতিহাসিক ও ধর্মীয় বন্ধন না থাকত তাহলে তেহরান-বাগদাদ সম্পর্ক আবার সাবেক ইরাকি শাসক সাদ্দামের শাসনামলের মতো হয়ে যেতে পারত।
বৈঠকে ইরাকি প্রেসিডেন্ট বলেন, তার দেশ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ইরানের সঙ্গে ক্রমবর্ধমান ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক উপভোগ করছে। ইরানি কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিজের সাক্ষাতের প্রতি ইঙ্গিত করে রশিদ বলেন, ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক শক্তিশালী করতে এবং স্বাক্ষরিত অবশিষ্ট চুক্তিগুলো বাস্তবায়নের করতে তার দেশ সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাচ্ছে।বিগত বছরগুলোতে ইরাকে সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধে সমর্থন দেয়ার জন্য তিনি ইরানের সরকার ও জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।#
পার্সটুডে
.