আল-আকসা তুফান অভিযানের পর ইহুদিদের ইসরাইল ত্যাগের হিড়িক পড়েছে: বিশ্লেষক
প্রতিরোধ সংগ্রাম বিষয়ক প্রখ্যাত ইরানি বিশ্লেষক ড. মাসুদ আসাদুল্লাহি বলেছেন, আল-আকসা তুফান অভিযানের পর ইহুদিদের ইসরাইল ত্যাগের হিড়িক পড়েছে।
প্রতিরোধ সংগ্রাম বিষয়ক প্রখ্যাত ইরানি বিশ্লেষক ড. মাসুদ আসাদুল্লাহি বলেছেন, আল-আকসা তুফান অভিযানের পর ইহুদিদের ইসরাইল ত্যাগের হিড়িক পড়েছে।
তিনি আরও বলেন, ফিলিস্তিনিদের আল-আকসা তুফান অভিযান ইসরাইলের প্রতি আস্থা-বিশ্বাস চুরমার কর দিয়েছে। এটা পুরোপুরি স্পষ্ট হয়েছে যে, ইসরাইলে ইহুদিবাদীদের আর নিরাপত্তা থাকবে না, তারা আর নিরাপত্তাবোধ করতে পারবে না। নানা কারণে ইসরাইল থেকে ইহুদিবাদীদের চলে যাওয়ার প্রবণতা আগেও ছিল, কিন্তু সেটা ছিল খুব ধীর গতির। এখন এটা ব্যাপকভাবে বেড়েছে। ইসরাইলের বেন গুরিয়ন বিমান বন্দরে এখন লাইন পড়ে গেছে, বিমান ঘাঁটিতে দেখা দিয়েছে। যাদের দ্বৈত নাগরিকত্ব রয়েছে তাদেরকে নিতে অপর দেশ থেকে বিমান পাঠানো হচ্ছে যাতে তারা তাদের মূল ভূখণ্ডে ফিরতে পারে। এসব ঘটনার কোনোটিই এর আগে ঘটেনি। ইরানের গণমাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাতকারে তিনি এ কথা বলেন।
আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি ও প্রতিরোধ সংগ্রাম বিষয়ক এই বিশ্লেষক আরও বলেন, অতীতে সব সময় যুদ্ধটা ইসরাইলের কথিত সীমানার বাইরে হতো, সব সময় তাদের প্রতিপক্ষরা হতভম্ব হতো এবং কঠিন পরাজয়ের সম্মুখীন হতো। কিন্তু আল-আকসা তুফান অভিযান সেই পরিস্থিতির অবসান ঘটিয়েছে, সেই মিথ ভেঙে দিয়েছে। এবার উল্টো ঘটনা ঘটেছে সব সময় তারা অন্যদেরকে হতচকিত করে দিত, এবার তারা হতচকিত হয়েছে। এটা গোয়েন্দা ও নিরাপত্তা ক্ষেত্রে তাদের জন্য অপূরণীয় ব্যর্থতা।
মাসদু আসাদুল্লাহি বলেন, আল-আকসা তুফান অভিযানের পেছনে যেসব লক্ষ্য-উদ্দেশ্য ছিল, ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ যোদ্ধারা দুই দিনে তাদের সেসব লক্ষ্য-উদ্দেশ্য অর্জন করতে পেরেছে। তারা ১৯৪৮ সালের ভূখণ্ডে প্রবেশ করে ২২টি ইহুদি উপশহরের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়। একইসঙ্গে তারা বহু লোককে বন্দী করতে পেরেছে। পরিস্থিতি সামলে নেয়ার জন্য ইসরাইলি সেনাবাহিনীর দুই দিন লেগে গেছে। হামাস ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর কৌশলকে তাদের বিরুদ্ধেই ভালোভাবে ব্যবহার করেছে এবং ইসরাইলের দর্প ভেতরে-বাইরে সর্বত্র চূর্ণ করে দিয়েছে।
তিনি বলেন, ৭ অক্টোবর অর্থাৎ আল আকসা তুফান অভিযান দিবস হচ্ছে একটি সন্ধিক্ষণ। ৭ অক্টোবরের পর থেকে অতীতের অপরাজেয় ইসরাইল পরিণত হয়েছে হাত-পা বাঁধা এক ইসরাইলে। তারা এখন নিজেদের লোকজনকেই রক্ষা করতে অক্ষম এবং নিজেদের দাবিগুলোকে প্রতিষ্ঠিত করতে ব্যর্থ।#
পার্সটুডে
.