আমেরিকা থেকে দেশে ফেরত আনলেন হাখামানেশি সাম্রাজ্যের ৩৫০০ মাটির ফলক
ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের প্রেসিডেন্ট সাইয়্যেদ ইব্রাহিম রায়িসি নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনে যোগদান শেষে গতকাল (বৃহস্পতিবার) দেশে ফিরেছেন।

ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের প্রেসিডেন্ট সাইয়্যেদ ইব্রাহিম রায়িসি নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনে যোগদান শেষে গতকাল (বৃহস্পতিবার) দেশে ফিরেছেন। এই সফরে তিনি হাখামানেশি সাম্রাজ্যের ৩৫০০ মাটির ফলক আমেরিকা থেকে দেশে ফেরত আনেন।
গুরুত্বপূর্ণ ও ঐতিহাসিক এসব মাটির ফলক আমেরিকা থেকে ইরানে ফেরত আনার ব্যাপারে কার্যকর ও সঠিক পদক্ষেপ নেয়ার জন্য প্রেসিডেন্ট রায়িসি ইরানের সাংস্কৃতিক ও ঐতিহ্য মন্ত্রণালয়, পর্যটন ও কুটির শিল্প সংস্থা, জাতিসংঘে ইরানের স্থায়ী মিশন এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে ধন্যবাদ জানান।
৮৪ বছর আগে মার্কিন সরকার ইরানের এসব মাটির ফলকের পাঠোদ্ধার এবং গবেষণার কথা বলে নিয়ে যায় এবং শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর ইস্ট এশিয়ান স্টাডিজে বিভাগে রেখে দেয়। মার্কিন সরকার গবেষণার জন্য তিন বছরের কথা বলে এসব ঐতিহাসিক মাটির ফলক আমেরিকায় নিয়ে যায় কিন্তু এত বছরেও তা আর ফেরত দেয় নি। ১৯৭৯ সালে ইরানে ইসলামী বিপ্লব সফল হওয়ার পর থেকে এইসব গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহ্য দেশে ফেরত আনার চেষ্টা শুরু হয় এবং শেষ পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট রায়িসির এবারের সফরে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সফলতা এলো।
গতকাল সন্ধ্যায় দেশে ফিরে তেহরানের মেহেরাবাদ বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের প্রেসিডেন্ট রায়িসি বলেন, ৩৫০০ মাটির ফলক দেশে ফেরত আনা হয়েছে এবং এগুলো জনগণের দেখানোর জন্য ইরানের জাদুঘরগুলোতে রাখা হবে। সাংবাদিকদের সাথে আলোচনার এক পর্যায়ে প্রেসিডেন্ট রায়িসি বলেন, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের বার্ষিক অধিবেশনে যোগ দেয়ার মাধ্যমে ইরানের অবস্থান এবং বিভিন্ন বিষয়ে পরিষ্কার ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ তুলে ধরার সুযোগ তৈরি হয়েছে।
তিনি বলেন, পবিত্র কুরআন অবমাননার বিরুদ্ধে তিনি জাতিসংঘে যে বক্তব্য দিয়েছেন তাতে ইরানের মূল্যবোধ ও পরিচয় ফুটে উঠেছে। তিনি আরো জানান, নিউইয়র্ক সফরের সময় বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ সাংবাদিক, বিশেষজ্ঞ ও রাজনীতিবিদের সাথে তার ২০টি বৈঠক হয়েছে। এসব বৈঠকে ইরানের অবস্থান স্পষ্ট করা হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। তবে দশটি বৈঠকে ইরানের ব্যবসা বাণিজ্য এবং অর্থনৈতিক বিষয়ে বিশেষ আলোচনা হয়েছে বলে প্রেসিডেন্ট রায়িসি জানান।#
পার্সটুডে
.