আঞ্চলিক সম্পর্ক শক্তিশালী করতে ভূমিকা রাখছে ওমান ও ইরান
মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর শান্তি, নিরাপত্তা ও উন্নয়নের ব্যাপারে ইরান ও ওমান অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করে বলে মন্তব্য করেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট সাইয়্যেদ ইব্রাহিম রায়িসি।
মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর শান্তি, নিরাপত্তা ও উন্নয়নের ব্যাপারে ইরান ও ওমান অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করে বলে মন্তব্য করেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট সাইয়্যেদ ইব্রাহিম রায়িসি।তিনি গতকাল (রোববার) তেহরান সফররত ওমানের সুলতান হাইসাম বিন তারিক আলে সাঈদের সঙ্গে এক বৈঠকে এ মন্তব্য করেন।
রায়িসি বলেন, মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোকে অভিন্ন লক্ষ্যপানে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার যে চেষ্টা ওমান ও ইরান করছে তার ফলে এ অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে সম্পর্ক আরো শক্তিশালী হবে। প্রেসিডেন্ট রায়িসি বলেন, তেহরান ও মাস্কাট তাদের সম্পর্ককে নিছক বাণিজ্যের পর্যায় থেকে পুঁজি বিনিয়োগের পর্যায়ে উন্নীত করেছে।
শিল্প, বাণিজ্য, যোগাযোগ, প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা, সড়ক ও রেলপথ, সামুদ্রিক পরিবহন ব্যবস্থা এবং ট্রানজিট খাতে দু’দেশের মধ্যে সহযোগিতা আরো শক্তিশালী করার সুযোগ রয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
ইরান ও ওমানকে আরো বেশি সহযোগিতার জন্য কাজ করতে হবে: সুলতান হাইসাম
সাক্ষাতে ওমানের সুলতান হাইসাম বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইরানের সঙ্গে তার দেশের সম্পর্কের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। তিনি আরো বলেন, গত বছরের মে মাসে প্রেসিডেন্ট রায়িসির মাস্কাট সফরের পর দু’দেশের মধ্যকার বাণিজ্যিক লেনদেন প্রায় দ্বিগুণ বেড়েছে। তবে দ্বিপক্ষীয় সক্ষমতা আরো অনেক বেশি থাকায় এই লেনদেনকে আরো বহুগুণে বাড়ানো সম্ভব বলে তিনি মন্তব্য করেন।
প্রেসিডেন্ট রায়িসির গত বছরের সফরে ইরান ও ওমান ১২টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকে সই করে। সুলতান হাইসামের চলতি তেহরান সফরেও চারটি চুক্তি সই হয়েছে।ওমানের সুলতান দু’দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে রোববারই তেহরানে পৌঁছান।
সম্প্রতি বেলজিয়ামের সঙ্গে ইরানের বন্দি বিনিময়ের আলোচনায় মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করেছে ওমান। এছাড়া, এর আগে পরমাণু সমঝোতা পুনরুজ্জীবনের আলোচনাসহ পাশ্চাত্যের সঙ্গে ইরানের মতভেদ নিরসনে একাধিকবার মধ্যস্থতা করেছে ওমান।#
পার্সটুডে
.