• Sep 22 2025 - 08:09
  • 5
  • : 2 minute(s)

ইরান সততা দেখিয়েছে কিন্তু পশ্চিমারা এখনও রাজনৈতিক শক্তির হাতে বন্দী

ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ এক বিবৃতিতে জোর দিয়ে বলেছে: আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার সাথে সহযোগিতার পথ স্থগিত করা হবে।

ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ এক বিবৃতিতে জোর দিয়ে বলেছে: আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার সাথে সহযোগিতার পথ স্থগিত করা হবে।

ইরানের সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ এক বিবৃতিতে ঘোষণা করেছে: ইরানের পরমাণু ইস্যুতে তিন ইউরোপীয় দেশের অযৌক্তিক পদক্ষেপের কারণে, আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার সাথে ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা এবং সমস্যা সমাধানের পরিকল্পনা থাকা সত্ত্বেও, সংস্থার সাথে সহযোগিতার পথ স্থগিত করা হবে।

জাতীয় নিরাপত্তা উচ্চ পরিষদ এই বিবৃতিতে আরও বলেছে: ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে দেশের জাতীয় স্বার্থ রক্ষার লক্ষ্যে সুপ্রিম জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের সিদ্ধান্তের কাঠামোর মধ্যে তার কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

ইরানের সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের এই বৈঠকে জোর দিয়ে বলা হয়েছে: বর্তমান পরিস্থিতিতে ইরানের নীতি হবে এই অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার জন্য যথাসম্ভব সহযোগিতা করা।

ইরানের সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সামরিক অভিযান এবং নিষেধাজ্ঞার ক্ষেত্রে উত্থাপিত কিছু দেশের পদক্ষেপ বিশ্লেষণ করেছে। সেইসঙ্গে ইরানের পারমাণবিক ইস্যুতে তিন ইউরোপীয় দেশের অচিন্তিত পদক্ষেপ নিয়েও আলোচনা এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছে।

ইউরোপীয় ত্রয়ী (ফ্রান্স, জার্মানি এবং যুক্তরাজ্য) এবং আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থার সাথে সাম্প্রতিক আলোচনায়, ইরান বেশ কিছু বৈধ এবং যুক্তিসঙ্গত দাবি পেশ করেছে। ওইসব দাবির মূল ভিত্তি জাতীয় স্বার্থ রক্ষা, আন্তর্জাতিক আইনকে সম্মান করা এবং পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে উত্তেজনা বৃদ্ধি রোধ করা।

ইরান নতুন পরিস্থিতি এবং শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে সাম্প্রতিক আক্রমণের ঘটনার সাথে সামঞ্জস্য রেখে সংস্থাটির সাথে সহযোগিতার জন্য একটি নতুন ম্যানুয়াল তৈরি করতে চায়। ইরান জোর দিয়ে বলেছে যে সংস্থাটির উচিত পশ্চিমাদের রাজনৈতিক খেলায় প্রবেশ করা এড়িয়ে চলা এবং কেবল তার প্রযুক্তিগত ও সুরক্ষামূলক দায়িত্বের ভিত্তিতে কাজ করা।

ইরান নিরাপত্তা পরিষদের নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহালে তিন ইউরোপীয় দেশের অবৈধ পদক্ষেপের অবসান দাবি করে, কেননা তারা এই পদক্ষেপকে আইনগতভাবে যুক্তিসঙ্গত বলে মনে করে না। ইরান জোর দিয়ে বলছে যে অবশিষ্ট সুযোগটি একটি ন্যায্য ও ভারসাম্যপূর্ণ চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য ব্যবহার করা উচিত এবং ইউরোপীয় পক্ষগুলোকে চরমপন্থী ব্যক্তিদের দ্বারা প্রভাবিত হওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।

ইরান দেখিয়েছে যে তারা গঠনমূলক পারস্পরিক সহযোগিতা চায়, আন্তর্জাতিক আইনি কাঠামো বজায় রাখতে চায় এবং সংকটের বৃদ্ধি রোধ করতে চায়। একই সাথে, যে-কোনো সহযোগিতা পারস্পরিক শ্রদ্ধা, সাধারণ স্বার্থ এবং বলর্দিতা এড়ানোর ওপর ভিত্তি করে হওয়া উচিত বলে মনে করে।

স্ন্যাপব্যাক সক্রিয়করণ বন্ধ করা এবং সংস্থাটিকে রাজনীতিকরণ এড়ানোর মতো দাবিগুলো আসলে পশ্চিমা চাপের হাতিয়ারগুলোকে নিরপেক্ষ করার প্রচেষ্টা।

"নতুন পদ্ধতি" প্রস্তাবের মাধ্যমে, ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরান আইএইএ'র ভূমিকাকে পক্ষপাতদুষ্ট এবং নির্ভরশীল পর্যবেক্ষক থেকে প্রযুক্তিগত ও নির্ভরযোগ্য অংশীদারে পরিবর্তন করতে চায়। এই পরিবর্তন স্বচ্ছতা বৃদ্ধির দিকে পরিচালিত করতে পারে। চুক্তির অবশিষ্ট সুযোগ ব্যবহারের উপর ইরানের জোর কূটনীতির পথ বজায় রাখার আকাঙ্ক্ষাকে নির্দেশ করে। ইউরোপীয় ত্রয়ী এবং আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার কাছ থেকে ইরানের দাবি আন্তর্জাতিক আইনের নীতি এবং ইরানের জাতীয় স্বার্থের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা এবং বিরোধী পক্ষগুলো ইতিবাচকভাবে সাড়া দিলে কূটনীতির পথ পুনরুজ্জীবিত হতে পারে।

ইরানের পারমাণবিক ইস্যুতে একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য, বহুপাক্ষিক, ভারসাম্যপূর্ণ এবং আস্থা তৈরির ব্যবস্থার একটি সেট প্রয়োজন, যা বিরোধী পক্ষগুলোকে (ইউরোপীয় ত্রয়ী, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা) গ্রহণ করতে হবে।#

পার্সটুডে

Dhaka Bangladesh

Dhaka Bangladesh

.

:

:

:

: