‘ইরান এমন চুক্তি চায় যাতে কেউ পরমাণু সমঝোতা লঙ্ঘন করতে না পারে’
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান ২০১৫ সালে স্বাক্ষরিত পরমাণু সমঝোতা আবার কার্যকর করার লক্ষ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরে তার দেশের আগ্রহের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান ২০১৫ সালে স্বাক্ষরিত পরমাণু সমঝোতা আবার কার্যকর করার লক্ষ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরে তার দেশের আগ্রহের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেছেন, ইরান এমন একটি চুক্তি চায় যার ফলে আর কারো পক্ষে পরমাণু সমঝোতা থেকে একতরফাভাবে বেরিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে না।
তিনি শনিবার রাতে কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুররহমান আলে সানির সঙ্গে এক টেলিফোনালাপে এ মন্তব্য করেন। এ সময় দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক খাতসহ নানা খাতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা ও মতবিনিময় করেন।
পাশ্চাত্যের সঙ্গে গত প্রায় দেড় বছর ধরে চলমান পরমাণু সমঝোতা পুনরুজ্জীবনের আলোচনা প্রসঙ্গে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তেহরান সত্যিকার অর্থে একটি ভালো, শক্তিশালী ও টেকসই চুক্তি চায়।ইরানের চুক্তি করার ইচ্ছে নেই বলে পশ্চিমারা যে প্রচার চালাচ্ছে তা সত্য নয়।
টেলিফোনালাপে পরমাণু সমঝোতা পুনরুজ্জীবনের আলোচনায় ইরান যুক্তিপূর্ণ অবস্থান নিয়েছে বলে উল্লেখ করেন কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।তিনি বলেন, ইরানের ওপর অন্যায়ভাবে আরোপিত নিষেধাজ্ঞাগুলো প্রত্যাহারের জন্য পরমাণু সমঝোতা আবার কার্যকর করা দরকার।
এর আগে আব্দুল্লাহিয়ান গত বুধবার ইউরোপীয় ইউনিয়ন বা ইইউর পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান কর্মকর্তা জোসেপ বোরেলের সঙ্গে এক টেলিফোনালাপেও ইরানের একই অবস্থানের কথা তুলে ধরে বলেছিলেন, আমেরিকা বাস্তববাদী হলেই এখন চুক্তি সই করা সম্ভব। একইদিন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কুয়েত, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ওমান ও ইরাকের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গেও ফোনে কথা বলেন এবং তাদের সবাইকে জানান, একটি শক্তিশালী ও টেকসই চুক্তি স্বাক্ষর করতে ইরানের আন্তরিকতার কোনো অভাব নেই। কিন্তু আমেরিকার অবাস্তব নীতি-অবস্থানের কারণে চুক্তি সই করা সম্ভব হচ্ছে না। সূত্র: পার্সটুডে
.