শত্রুর যেকোনো পয়েন্টে পৌঁছানোর মতো ক্ষমতা অর্জন করতে হবে: সালামি
ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিরসি’র নৌ শাখা বেশ কয়েক ধরনের যুদ্ধ জাহাজ ও নৌযান হাতে পেয়েছে তা শত্রুর বিরুদ্ধে আক্রমণের ক্ষেত্রে খুবই উপযোগী হবে।
ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিরসি’র নৌ শাখা বেশ কয়েক ধরনের যুদ্ধ জাহাজ ও নৌযান হাতে পেয়েছে তা শত্রুর বিরুদ্ধে আক্রমণের ক্ষেত্রে খুবই উপযোগী হবে। সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এসব যুদ্ধ জাহাজ ও সামরিক সরঞ্জাম আনুষ্ঠানিকভাবে আজ (শনিবার) আইআরজিসি’র কাছে হস্তান্তর করা হয়।
অনুষ্ঠানে আইআরজিসি’র প্রধান মেজর জেনারেল হোসেইন সালামি, আইআরজিসি নৌ শাখার প্রধান রিয়ার অ্যাডমিরাল আলী রেজা তাংসারি সহ শীর্ষ পর্যায়ের সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আইআরজিসি’র কাছে হস্তান্তর করা এই যুদ্ধজাহাজের নাম দেয়া হয়েছে আবু মাহদি আল-মুহান্দিস। ইরাকের হাশদ আশ-শাবির সাবেক সেকেন্ড ইন কমান্ড আবু আল-মুহান্দিস ২০২০ সালের ৩ জানুয়ারি মার্কিন সন্ত্রাসী বাহিনীর ড্রোন হামলায় ইরানের কুদস ফোর্সের প্রখ্যাত কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল কাসেম সোলেমানি সঙ্গে শহীদ হয়েছিলেন।
নতুন যুদ্ধ জাহাজ একটানা ১৪ দিন চলতে পারবে এবং ২ হাজার নটিক্যাল মাইল ব্যাসার্ধের ভেতর থেকে শত্রুরা এই জাহাজের উপর গোয়েন্দা বৃত্তি চালাতে পারবে না। জাহাজটি শত্রুর রাডার ফাঁকি দিতে সক্ষম। ইরানের তিনটি কোম্পানি এই জাহাজ নির্মাণ কাজে যুক্ত ছিল। জাহাজটি নির্মাণ করতে ১৫ মাস সময় লেগেছে। আগামী ১৫ মাসে আইআরজির বিশেষজ্ঞরা আরো তিনটি যুদ্ধজাহাজ তৈরি করবে বলে কথা রয়েছে।
আইআরজিসিসি আবু মাহাদি যুদ্ধ জাহাজের পাশাপাশি তারেক ও আশুরা ক্লাস যুদ্ধযান হাতে পেয়েছে যেগুলোতে ইরানের কাউসার ক্ষেপণাস্ত্র বসানো যাবে। এসব জাহাজ থেকে ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়ে শত্রুর যুদ্ধবিমান, হেলিকপ্টার এবং ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করা যাবে।
অনুষ্ঠানে মেজর জেনারেল হোসেইন সালামি বলেন, যুদ্ধে জেতার মতো প্রয়োজনীয় সমস্ত উপকরণ আবু মাহদি যুদ্ধজাহাজে আছে। এ সময় তিনি জোর দিয়ে বলেন, আইআরজিসি’র নৌ শাখার সদস্যদেরকে শত্রুর যেকোনো পয়েন্টে পৌঁছানোর মতো সক্ষমতা অর্জন করতে হবে।#
পার্সটুডে