• Feb 2 2023 - 12:24
  • 74
  • : 1 minute(s)

বিপ্লব বার্ষিকী উপলক্ষে ইমাম খোমেনী (রহ.)’র মাজার জিয়ারত করলেন সর্বোচ্চ নেতা

সারা ইরানে আজ (বুবধার) থেকে শুরু হয়েছে ইসলামি বিপ্লবের ৪৪তম বিজয় বার্ষিকীর ১০ দিনব্যাপী অনুষ্ঠান।

সারা ইরানে আজ (বুবধার) থেকে শুরু হয়েছে ইসলামি বিপ্লবের ৪৪তম বিজয় বার্ষিকীর ১০ দিনব্যাপী অনুষ্ঠান। ১৯৭৯ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ইসলামি বিপ্লবের রূপকার ইমাম খোমেনী (রহ.) ১৪ বছরেরও বেশি সময় নির্বাসিত জীবন শেষে দেশে ফিরে এসেছিলেন এবং এর ১০ দিন পর ১১ ফেব্রুয়ারি বিপ্লবের চূড়ান্ত বিজয় হয়েছিল। এই ১০ দিনকে ইরানে ‘আলোকোজ্জ্বল ১০ প্রভাত’ নামে অভিহিত করা হয়।

ইসলামি বিপ্লবের বিজয়ের মাধ্যমে ইরানের মাটি থেকে চিরতরে মুছে গিয়েছিল ২,৫০০ বছরের রাজতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা। উৎখাত হয়েছিল আমেরিকার পদলেহী রেজা শাহ সরকার।

ইমামের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আজ সকাল ৯টা ৩৩ মিনিট থেকে আলোকোজ্জ্বল ১০ প্রভাতের অনুষ্ঠান শুরু হয়। দিবসটি উপলক্ষে আজ সকালে সব স্কুলে ঘণ্টা বাজানো হয়। এটাকে বিপ্লবের ঘণ্টা হিসেবে অভিহিত করা হয়।  ১৯৭৯ সালের এ দিনে সকাল ৯টা ৩৩ মিনিটে ইমামের প্রত্যাবর্তনের স্মরণে এ সময় আজকের অনুষ্ঠান শুরু করা হয়। বিপ্লব বার্ষিকী উপলক্ষে ইরানের স্কোয়ার ও সড়কগুলোকে নতুনকরে সাজানো হয়েছে। ইমাম খোমেনী (রহ.)'র স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আজ সশস্ত্র বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিট মোটর সাইকেল শোভাযাত্রা বের করে।

রাজধানী তেহরানের অদূরে ইমাম খোমেনী (রহ.)’র মাজার প্রাঙ্গণে সমবেত হন ইরানের সর্বস্তরের হাজার হাজার মানুষ। তারা তাদের প্রাণপ্রিয় এ মরহুম নেতার প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর পাশাপাশি তার প্রতি আনুগত্যের শপথ পুনর্ব্যক্ত করেন। তেহরানের পাশাপাশি ইরানের অন্যান্য শহরেও একই সময়ে আলোকোজ্জ্বল ১০ প্রভাতের অনুষ্ঠান শুরু হয়।

ইমাম খোমেনী (রহ.)'র ১৪ বছরেরও নির্বাসিত জীবনের বেশিরভাগ কাটে ইরাকের পবিত্র নাজাফ নগরীতে। এরপর তুরস্ক হয়ে তিনি ফ্রান্সে যান এবং ইরানের তৎকালীন স্বৈরাচারী শাহ দেশ থেকে পালিয়ে গেলে তিনি প্যারিস থেকে দেশে ফেরেন।

সেদিন ইরানে রেজা শাহের মনোনীত সরকার ক্ষমতায় থাকার পরও ইমাম খোমেনী (রহ.)কে স্বাগত জানাতে অন্তত ২০ লাখ লোক তেহরানে সমবেত হয়। তেহরানের মেহরাবাদ বিমানবন্দর থেকে শুরু করে বেহেশতে জাহরা পর্যন্ত লোকে লোকারণ্য হয়ে যায়। ইমাম দেশে ফিরে বেহেশতে জাহরায় প্রথম জনতার উদ্দেশে দিকনির্দেশনামূলক ভাষণ দেন এবং সরকার গঠনের ঘোষণা দেন।

ইমামের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ও আলোকোজ্জ্বল ১০ প্রভাতের প্রাক্কালে গতকাল মঙ্গলবার ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী মরহুম ইমামের মাজার জিয়ারত করেন। এ ছাড়া, প্রেসিডেন্ট সাইয়্যেদ ইব্রাহিম রায়িসি এবং তার মন্ত্রী পরিষদের সদস্যরা ইমামের মাজার জিয়ারত করেন। তাদের সঙ্গে ছিলেন ইমামের নাতি সাইয়্যেদ হাসান খোমেনী।# পার্সটুডে

Dhaka Bangladesh

Dhaka Bangladesh

.

:

:

:

: