বস্তুগত স্বাধীনতা ও ইসলামি স্বাধীনতার মধ্যে পার্থক্য ব্যাখ্যা করলেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা
ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী বস্তুগত স্বাধীনতার সঙ্গে ইসলামি স্বাধীনতার পার্থক্য ব্যাখ্যা করেছেন।
ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী বস্তুগত স্বাধীনতার সঙ্গে ইসলামি স্বাধীনতার পার্থক্য ব্যাখ্যা করেছেন। তিনি গতকাল (মঙ্গলবার) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী ও ছাত্র নেতাদের ইফতার মাহফিলে অন্য অনেক বিষয়ের পাশাপাশি এ বিষয়েও কথা বলেন।
এ সময় সর্বোচ্চ নেতা বলেন, স্বাধীনতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ইসলাম ধর্মে স্বাধীনতা তত্ত্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশটি হলো বস্তুগত কাঠামো থেকে মুক্তি। যদিও বস্তুগত দৃষ্টিভঙ্গি হলো, মানুষ পৃথিবীতে এসছে, কয়েক বছর জীবনযাপন করবে, এরপর বিলুপ্ত হয়ে যাবে। বস্তুবাদে বলা হচ্ছে, সব মানুষই বিলুপ্ত হয়ে যাবে। এই বস্তুগত কাঠামোতে আপনাকে কিছু স্বাধীনতা দেওয়া হবে। যৌন স্বাধীনতা, ক্রোধের স্বাধীনতা, জুলুম করার স্বাধীনতা- এ ধরণের নানা স্বাধীনত। কিন্তু আসলে এটা কোনো স্বাধীনতা নয়।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা প্রকৃত স্বাধীনতা বলতে ইসলামি স্বাধীনতাকেই তুলে ধরেছেন। তিনি এ প্রসঙ্গে বলেন, প্রকৃত স্বাধীনতা হলো ইসলামি স্বাধীনতা। ইসলাম ধর্ম মানুষকে বস্তুগত কাঠামোর মধ্যে আবদ্ধ করে না। এখানে মৃত্যুই সব কিছুর সমাপ্তি নয়, বরং মৃত্যু হচ্ছে নতুন একটি পর্বের সূচনা মাত্র, আসলে এটিই মূল পর্ব। আপনারা যখন এই দৃষ্টিতে বিষয়গুলোকে দেখবেন তখন আপনারা উচ্চ অবস্থানে পৌঁছাতে পারবেন, এ অবস্থায় আপনার পদক্ষেপ, উন্নতি ও অগ্রগতির সীমা-পরিসীমা থাকবে না। এটাই স্বাধীনতা। ব্যক্তি স্বাধীনতা ও মতের স্বাধীনতা ইসলামি স্বাধীনতার মূল ভিত্তি থেকে উৎসারিত।
আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী বলেন, ইসলামি স্বাধীনতা হচ্ছে অনমনীয়তা, পশ্চাদপদতা, স্থবিরতা, প্রতিক্রিয়াশীলতা, পরাশক্তি, স্বৈরশাসন ইত্যাদির শৃঙ্খল থেকে মুক্তির ভিত্তি। এসব বিষয় নিয়ে ভাবতে হবে, এসব ইস্যু নিয়ে কাজ করতে হবে। আমি আধা ঘণ্টা কথা বললাম এটা কোনো সমাধান নয় বরং আপনাদেরকে এটা নিয়ে চিন্তা করতে হবে, এটা নিয়ে কাজ করতে হবে, বই পড়তে হবে।#
পার্সটুডে
.