ফিলিস্তিনিদের প্রতি ইরানের অব্যাহত সমর্থনের ওপর জোর দিলেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা বলেছেন: ইরান-ভীতির প্রধান কারণ ফিলিস্তিনিদের প্রতি ইসলামী প্রজাতন্ত্রের প্রকাশ্য এবং বেপরোয়া সমর্থন।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা বলেছেন: ইরান-ভীতির প্রধান কারণ ফিলিস্তিনিদের প্রতি ইসলামী প্রজাতন্ত্রের প্রকাশ্য এবং বেপরোয়া সমর্থন। গতকাল রাসূলের (সা) নবুয়্যত প্রাপ্তি দিবস উপলক্ষে মুসলিম দেশগুলোর রাষ্ট্রদূতসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা এবং কুরআন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের এক সমাবেশে আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী এ কথা বলেন।
জনাব খামেনেয়ী বলেন: মহানবীর জীবন অনুসরণের মধ্যেই রয়েছে সকল সমস্যার সমাধান। তাঁর রেসালাতের অফুরন্ত ভাণ্ডারকে কাজে লাগানোর মধ্যেই আমাদের দুনিয়া এবং আখেরাতের সমৃদ্ধি ও সৌভাগ্য বিরাজ করছে। মুসলিম দেশগুলো যদি রাসুলের নবুয্যত লাভের শিক্ষা অনুসরণ করতো তাহলে ঘৃণিত বর্ণবাদী ইসরাইল মুসলিম উম্মাহর চোখের সামনে ফিলিস্তিনীদের ওপর এভাবে নির্যাতন নিপীড়ন চালাতে পারতো না। তবে ইরানি জাতি ও সরকার এ ক্ষেত্রে তাদের দায়িত্ব যথারীতি পালন করে যাবে বলে সর্বোচ্চ নেতা উল্লেখ করেন। বর্বর ইসরাইলের অত্যাচার থেকে মজলুম ফিলিস্তিনীদের মুক্ত করা ইরানের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় এজেন্ডা। ইসলামি বিপ্লব বিজয়ের পর থেকে এ দায়িত্বটি ইরানের পররাষ্ট্র নীতিতে অগ্রাধিকার পেয়ে আসছে বলেও মন্তব্য করেন সর্বোচ্চ নেতা।
ইরানের সংবিধানের ১৫৪ অনুচ্ছেদ অনুসারে ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরান সমগ্র মানব সমাজে মানুষের সুখ-শান্তিকেই তাদের লক্ষ্য হিসেবে বিবেচনা করে। সেইসঙ্গে স্বাধীনতা, মুক্তি এবং ন্যায়ের শাসনকে প্রতিটি মানুষের ন্যায্য অধিকার বলে মনে করে। তাই বিশ্বের অপরাপর জাতির অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করা থেকে সম্পূর্ণরূপে বিরত থেকে পৃথিবীর প্রতিটি প্রান্তে বলদর্পী শক্তির বিরুদ্ধে অত্যাচারিতদের ন্যায্য সংগ্রামকে সমর্থন করে ইরান। ইরান এ কারণেই আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ফোরামে ফিলিস্তিনীদের অধিকার ও ইহুদিবাদীদের বিরুদ্ধে তাদের প্রতিরোধ সংগ্রামকে সমর্থন দিচ্ছে। বিশ্ববাসীর প্রতিও ফিলিস্তিনীদের অধিকার রক্ষার প্রতি অনুরূপ সমর্থন প্রত্যাশা করে ইরান। ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে ইহুদিবাদী ইসরাইলের অমানবিক আচরণের ইতিহাস সুস্পষ্টভাবেই প্রমাণ করছে তারা মুসলিম দেশগুলোর সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সম্পর্ক চায় না। তারা চায় ইসলামি সমাজকে দুর্বল করে তাদের ওপর দখলদারিত্ব ও আধিপত্যবাদ বজায় রাখতে।
সর্বোচ্চ নেতা বলেন মুসলিম দেশগুলোর সম্পদের অভাব নেই। অভাব শুধু ঐক্যের। শত্রুদের ষড়যন্ত্রের কারণেই ঐক্যের পথে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়েছে। আর এই অনৈক্যের কারণেই মুসলমানরা ফিলিস্তিন ইস্যুতে অভিন্ন ও কার্যকর অবস্থান নিতে পারে নি। দু:খজনকভাবে কোনো কোনো মুসলিম দেশ ইসলাম-বিরোধী এই রক্তপিপাসু শক্তিকে সমর্থনও দিচ্ছে। নিজেদের শক্তি ও সামর্থ্যের ওপর দাঁড়িয়ে ঐশি শক্তির ওপর ভরসা রেখে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হবার আহ্বান জানান ইরানের সর্বোচ্চ নেতা।# পার্সটুডে
.