তিন ইউরোপীয় দেশের বিবৃতির প্রতিক্রিয়া জানালো ইরান
পরমাণু সমঝোতা বা জেসিপিওএ লঙ্ঘনের ব্যাপারে তিন ইউরোপীয় দেশ ইরানের বিরুদ্ধে যে বিবৃতি দিয়েছে সে প্রসঙ্গে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আজ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।
পরমাণু সমঝোতা বা জেসিপিওএ লঙ্ঘনের ব্যাপারে তিন ইউরোপীয় দেশ ইরানের বিরুদ্ধে যে বিবৃতি দিয়েছে সে প্রসঙ্গে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আজ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানয়ানি বলেছেন: ভিয়েনায় ইরানি প্রতিনিধি এরইমধ্যে তাদের ওই বক্তব্যের জবাব দিয়েছে। ওই জবাবে আমাদের অবস্থান দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপিত হয়েছে।
বার্তা সংস্থা ইরানপ্রেস জানিয়েছে, নাসের কানানি বলেছেন: পরমাণু সমঝোতা বিষয়ক আলোচনা পারস্পরিক অঙ্গিকারের ওপর ভিত্তি করে হয়। পারস্পরিকতা ও বাস্তবায়ন আন্তর্জাতিক আইনে একটি সুপরিচিত নীতি।
তিনি বলেন: পরমাণু সমঝোতা বিষয়ক আলোচনা শুধুমাত্র পারস্পরিক কর্মতৎপরতার মাধ্যমে স্থিতিশীল থাকবে। তিনি বলেন: ইরানের পারমাণবিক কার্যক্রম সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ এবং এনপিটির সাথে সঙ্গতিপূর্ণ। একইসঙ্গে ইরানের পারমাণবিক কার্যক্রম আইএইএ'র যাচাই-বাছাই এবং তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হচ্ছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন: আজ গাজায় যুদ্ধবিরতির শেষ দিন। ইরান ইসরাইলি হত্যাযজ্ঞের পুনরাবৃত্তি চায় না। যুদ্ধবিরতি অব্যাহত থাকুক-এটাই ইরানের প্রত্যাশা। বিশ্বসমাজও ইসরাইলি আগ্রাসনের সমাপ্তি চায় বলে মন্তব্য করেন কানয়ানি। তিনি আরও বলেন: কাতারের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা চলছে যাতে অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি স্থায়ী রূপ নেয়।
এ অঞ্চলে মার্কিন রণতরীর উপস্থিতির প্রতিক্রিয়া জানিয়ে ইরানি এই কূটনীতিক বলেন: মার্কিন সরকার সবসময় এ অঞ্চলে শান্তি ও নিরাপত্তাহীনতা সৃষ্টির কারণ হয়েছে। তাদের রণতরী ইহুদিবাদী ইসরাইলের স্বার্থে মোতায়েন করা হয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
কানানি জোর দিয়ে বলেন: ইরান সবসময় এ অঞ্চলের নিরাপত্তা বজায় রাখতে কার্যকর ভূমিকা পালন করেছে। আমেরিকার প্রোপাগাণ্ডায় বিশ্ব জনমত প্রতারিত হবে না বলে তিনি দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন: ফিলিস্তিন ইস্যুটি মুসলিম সরকারগুলোর উদ্বেগের বিষয় এবং বিভিন্ন ফোরামে এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। ব্রিকস, ইকো, সাংহাই এবং জাতিসংঘের মতো সংস্থাগুলোতে ইরান ফিলিস্তিন ইস্যুটি তুলে ধরেছে এবং এই প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখা হবে বলে জনাব কানয়ানি উল্লেখ করেন।#
পার্সটুডে
.