ইরানের ৬০০ কোটি ডলার অর্থ তেহরানকে দিতে কাতার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রয়েছে
কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মাদ বিন আব্দুররহমান বিন জাসিম আলে সানি বলেছেন, সম্প্রতি ইরানের তেল বিক্রির যে ৬০০ কোটি ডলার অবমুক্ত করা হয়েছে তা তেহরানকে দেয়ার প্রতিশ্রুতিতে দোহা অটল রয়েছে।
কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মাদ বিন আব্দুররহমান বিন জাসিম আলে সানি বলেছেন, সম্প্রতি ইরানের তেল বিক্রির যে ৬০০ কোটি ডলার অবমুক্ত করা হয়েছে তা তেহরানকে দেয়ার প্রতিশ্রুতিতে দোহা অটল রয়েছে। গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর মার্কিন প্রশাসন দাবি করেছিল, ইসরাইল বিরোধী প্রতিরোধ শক্তিগুলোর প্রতি ইরানের সমর্থনের কারণে কাতারে থাকা দেশটির ওই অর্থ আবার আটকে দেয়া হয়েছে।
মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কারণে দক্ষিণ কোরিয়ার কাছে ইরানের তেল বিক্রির ৬০০ কোটি ডলার আটকা পড়েছিল এবং আমেরিকার সঙ্গে ইরানের এক পরোক্ষ সমঝোতার ভিত্তিতে সম্প্রতি ওই অর্থ কাতারের কাছে হস্তান্তর করেছে দক্ষিণ কোরিয়া।
কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শনিবার তার ইরানি সমকক্ষ হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ানের সঙ্গে এক ফোনালাপে বলেন, ইরান ও কাতারের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তি অনুযায়ী তেহরানের অর্থপ্রাপ্তির পথ সুগম করতে একটি নির্বাহী প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পথে রয়েছে।
২০২৩ সালের আগস্ট মাসে কাতারের মধ্যস্থতায় ইরান ও আমেরিকার মধ্যে একটি চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী, ইরান ও আমেরিকা নিজেদের মধ্যে কয়েকজন বন্দি বিনিময় করে এবং ২০১৮ সাল থেকে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার অজুহাতে দক্ষিণ কোরিয়ায় আটকে পড়া ইরানের ৬০০ কোটি ডলার ছাড় দেয়া হয়। সেপ্টেম্বর মাসে ওই অর্থ কাতারের আহলিব্যাংক ও দুখান ব্যাংকে থাকা ইরানের ছয়টি ব্যাংকের একাউন্টে জমা হয়।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন দাবি করছে, ইরানকে ওই অর্থ শুধুমাত্র ‘মানবিক’ কাজে ব্যয় করতে হবে। তবে ইরানের প্রেসিডেন্ট সাইয়্যেদ ইব্রাহিম রায়িসি বলেছেন, ওই অর্থের পরিপূর্ণ মালিকানা তেহরানের এবং ইরান তার প্রয়োজন অনুযায়ী যেকোনো খাতে তা খরচ করবে। #
পার্সটুডে