ইরানের হস্তশিল্পের মুকুট মণি ইসফাহান
ইসফাহানকে কখনও কখনও ইরানের হ্যান্ডিক্র্যাফ্ট শিল্পের মুকুট মণি হিসেবে উল্লেখ করা হয়। কারণ প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে চলে যাওয়া জ্ঞান রক্ষা করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছেন এখানকার কারিগররা।
ইসফাহানকে কখনও কখনও ইরানের হ্যান্ডিক্র্যাফ্ট শিল্পের মুকুট মণি হিসেবে উল্লেখ করা হয়। কারণ প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে চলে যাওয়া জ্ঞান রক্ষা করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছেন এখানকার কারিগররা।মঙ্গলবার ইসফাহান পৌরসভার একজন কর্মকর্তা মোহসেন মাসুমি বলেন, ‘হস্তশিল্পের ক্ষেত্রের সংখ্যা এবং বৈচিত্র্যের ক্ষেত্রে ইসফাহান দেশের মধ্যে প্রথম স্থানে রয়েছে। বর্তমানে ইরানের হস্তশিল্পের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ ইসফাহানে চর্চা করা হয়।’
হস্তশিল্পের একটি বিশ্ব শহর হিসেবে ইসফাহানের নিবন্ধনের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ইরানি এই কর্মকর্তা বলেন, হস্তশিল্প সেক্টরে এবং ঐতিহ্যবাহী শিল্পকলায় সম্মানজনক অবস্থানের কারণে ২০১৫ সালে ইসফাহানকে বিশ্ব কারুশিল্প কাউন্সিল কর্তৃক বিশ্ব হস্তশিল্পের শহর হিসেবে নিবন্ধিত করা হয়। জাতীয় ও প্রাদেশিক কর্মকর্তাদের বহু প্রচেষ্টায় এই সাফল্য আসে।
মাসুমি বলেন, ইসফাহানের হস্তশিল্পের শক্তিশালী সক্ষমতা রয়েছে। ১২৬টি আন্তর্জাতিক এবং ৫২৮টি জাতীয় শ্রেষ্ঠত্বের সিল দ্বারা এটা প্রমাণিত হয়েছে। প্রতিদিন হাজার হাজার কারিগর হস্তশিল্পের একটি জীবন্ত জাদুঘর হিসেবে শহরের খ্যাতি বজায় রাখতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন।
ইসফাহান একসময় ইরানে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও কূটনীতির একটি সংযোগস্থল ছিল। এখন এটি সঙ্গত কারণে ইরানের অন্যতম শীর্ষ পর্যটন গন্তব্য। এটিকে দীর্ঘদিন ধরে নেসফ-ই-জাহান নামে ডাকা হয়েছে, যার অর্থ অর্ধ জাহান। অর্থাৎ ইসফাহান দেখা মানে অর্ধেক পৃথিবী দেখার সমান। সূত্র: তেহরান টাইমস।
.