ইউনেস্কো স্বীকৃতির ৪৩তম বার্ষিকী উদযাপনে ইরানের চোঘা জানবিল
ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্তির ৪৩তম বার্ষিকী উদযাপন করলো দক্ষিণ-পশ্চিম ইরানের একটি প্রাগৈতিহাসিক জিগুরাত চোঘা জানবিল।
ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্তির ৪৩তম বার্ষিকী উদযাপন করলো দক্ষিণ-পশ্চিম ইরানের একটি প্রাগৈতিহাসিক জিগুরাত চোঘা জানবিল। এ উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় প্রাচীন স্থাপনাটিতে।
ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের পরিচালক আতেফেহ রাশনোই বলেছেন, তারা প্রতিবেশী সম্প্রদায়ের কিছু শিশুকে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানান। খবর সিএইচটিএন এর।
সচেতনতা বাড়াতে ও স্থানীয় সম্প্রদায়ের ক্ষমতায়ন এবং বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানটির অসামান্য মূল্যবোধ শিশুদের সামনে তুলে ধরার জন্য ৬ থেকে ১০ বছর বয়সী শিশুদের অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হয়।
রাশনোই বলেন, এই জমায়েত মূল্যবান স্মৃতিস্তম্ভটি সংরক্ষণ ও স্মরণে জাতীয় সংহতির অনুভূতি জোরদারে শিশুরা মন্দিরের চারপাশে একটি মানববন্ধন তৈরি করে।
খুজেস্তান প্রদেশের অন্যতম প্রধান পর্যটন গন্তব্য চোঘা জানবিলের চমৎকার ধ্বংসাবশেষকে বিশ্বের অনেকে ইলামি স্থাপত্যের সেরা টিকে থাকা উদাহরণ হিসেবে বিবেচনা করে থাকেন। এটি ১৯৭৯ সালে ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের মর্যাদা লাভ করে।
চোঘা জানবিল ১৯৫১ থেকে ১৯৬১ সালের মধ্যে ছয়টি ঋতুতে খনন করেন রুশ বংশোদ্ভূত ফরাসি প্রত্নতাত্ত্বিক রোমান ঘিরশম্যান। তিনি প্রাচীন ইরানের বিশেষজ্ঞ ছিলেন। স্থাপনাটি ইরানের প্রাচীনতম আদিবাসী সম্প্রদায়ের সংস্কৃতি, বিশ্বাস, আচার-অনুষ্ঠান এবং ঐতিহ্যের অনন্য অভিব্যক্তির সাক্ষ্য বহন করে। সূত্র: তেহরান টাইমস
.