সোলাইমানির হত্যাকাণ্ড ‘সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসের উজ্জ্বলতম দৃষ্টান্ত’
আমেরিকার হাতে ইরানের সন্ত্রাস-বিরোধী শীর্ষ কমান্ডার লে. জেনারেল কাসেম সোলাইমানির হত্যাকাণ্ড ‘সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসবাদী তৎপরতার উজ্জ্বলতম দৃষ্টান্ত’ বলে মন্তব্য করেছে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
আমেরিকার হাতে ইরানের সন্ত্রাস-বিরোধী শীর্ষ কমান্ডার লে. জেনারেল কাসেম সোলাইমানির হত্যাকাণ্ড ‘সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসবাদী তৎপরতার উজ্জ্বলতম দৃষ্টান্ত’ বলে মন্তব্য করেছে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সরাসরি নির্দেশে সন্ত্রাসী মার্কিন বাহিনীর ড্রোন হামলায় জেনারেল সোলাইমানি ও তার সঙ্গীদের হত্যাকাণ্ডের তৃতীয় বার্ষিকী উপলক্ষে সোমবার এক বিবৃতিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ মন্তব্য করেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় জেনারেল সোলাইমানির হত্যাকাণ্ড ‘সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী তৎপরতার’ আরেকটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। এতে আরো বলা হয়, আন্তর্জাতিক আইন ও রীতিনীতি অনুযায়ী মার্কিন সরকারকে এই অপরাধের ‘সুনির্দিষ্টি আন্তর্জাতিক দায়ভার’ বহন করতে হবে।
বিবৃতিতে বলা হয়, এই সন্ত্রাসী অপরাধযজ্ঞের সকল এজেন্ট, উস্কানিদাতা, অপরাধী, সাহায্যকারী এবং প্ররোচনাকারীকে এই হত্যাকাণ্ডের দায় বহন করতে হবে। এতে বলা হয়, এই ভয়ঙ্কর অপরাধযজ্ঞে জড়িত ব্যক্তিরা যাতে দায়মুক্তি পেতে না পারে সেজন্য ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বিচার বিভাগ ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিভাগ সুনির্দিষ্ট কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এছাড়া, হত্যাকাণ্ডটি ইরাকে সংঘটিত হয়েছে বলে ইরান ও ইরাকের যৌথ বিচার বিভাগীয় কমিটি এ হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে।
২০২০ সালের ৩ জানুয়ারি মার্কিন সন্ত্রাসী বাহিনী বাগদাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে জেনারেল সোলাইমানিকে শহীদ করে।ওই হামলায় তার সঙ্গে আরও শহীদ হন ইরাকের পপুলার মোবিলাইজেশন ইউনিটের সেকেন্ড ইন কমান্ড আবু মাহদি আল মুহান্দিস। ওই হামলার নির্দেশ দিয়েছিলেন তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সে সময়কার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওসহ যেসব সেনা কর্মকর্তা এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত তাদের তালিকা ইরানের হাতে রয়েছে।# পার্সটুডে
.