শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য ইরান-ইরাক সম্পর্ক উন্নয়ন জরুরি: প্রেসিডেন্ট রায়িসি
ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান প্রতিবেশী ইরাককে সব সময় শক্তিশালী হিসেবে দেখতে চায়।
ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান প্রতিবেশী ইরাককে সব সময় শক্তিশালী হিসেবে দেখতে চায়। আজ (মঙ্গলবার) তেহরান সফররত ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মুহাম্মাদ শিয়া আস-সুদানির সঙ্গে বৈঠকের সময় ইরানের প্রেসিডেন্ট সাইয়্যেদ ইব্রাহিম রায়িসি এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেছেন, ইরাকের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নকে ইরান ভিন্নভাবে দেখে এবং বিশেষ গুরুত্ব দেয়। আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে শান্তি ও স্থিতিশীলতা জোরদারে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক জোরদারের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন ইরানের প্রেসিডেন্ট। এ সময় তিনি দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য বাড়ানোরও তাগিদ দেন।
বৈঠকে ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মুহাম্মাদ শিয়া আস-সুদানি বলেছেন, পররাষ্ট্র সম্পর্কের ক্ষেত্রে ইরাকের কাছেও ইরান অত্যন্ত গুরুত্ব পায়। দুই দেশের মধ্যে বর্তমান সম্পর্কের গতিধারা প্রত্যাশিত পর্যায়ে রয়েছে বলে জানান এই নেতা। দুই দেশের যৌথ কমিশনগুলোর বৈঠক নিয়মিত অনুষ্ঠানের ওপর গুরুত্বারোপ করেন ইরাকি প্রধানমন্ত্রী।
আস-সুদানি ইরান সফরে ইরাকের একটি উচ্চ পর্যায়ের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। ইরাকের প্রধানমন্ত্রী আজ তেহরান এসে পৌঁছালে ইরানের প্রেসিডেন্ট সাইয়্যেদ ইব্রাহিম রায়িসি তাকে স্বাগত জানান। গত অক্টোবরে আস-সুদানি ইরাকের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। তারপর এই প্রথম তিনি ইরান সফরে এলেন।
ইরানের প্রেসিডেন্টের দপ্তরের রাজনৈতিক বিষয়ক ডেপুটি চিফ অব স্টাফ মোহাম্মদ জামশিদি রোববার জানিয়েছিলেন, ইরাকি প্রধানমন্ত্রীর দিনব্যাপী সফরের সময় দুই পক্ষ বেশ কিছু সমঝোতা স্মারক বা এমওইউ সই করবে যার ফলে দুদেশের মধ্যকার সহযোগিতা জোরদার করা সম্ভব হবে।# পার্সটুডে
.