ইরানের শাসন ব্যবস্থা সাম্রাজ্যবাদের সব হিসাব পাল্টে দিয়েছে: সর্বোচ্চ নেতা
ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী বলেছেন, ধর্ম ভিত্তিক জনগণের শাসন একটি নতুন বিষয়।
ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী বলেছেন, ধর্ম ভিত্তিক জনগণের শাসন একটি নতুন বিষয়। বিশ্বের রাজনৈতিক অভিধানে আমরা এটাকে যুক্ত করেছি। এই ব্যবস্থা সাম্রাজ্যবাদী শক্তির হিসাব-নিকাশ পাল্টে দিয়েছে। এ কারণেই বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিধর দেশগুলো এর বিরুদ্ধে উঠেপড়ে লেগেছে।
তিনি বুধবার ইরানের সংসদ সদস্যদের সঙ্গে বৈঠকে এ কথা বলেন।ইরানের সর্বোচ্চ নেতা বলেন, বিশ্বে দ্বিতীয় কোনো অঞ্চল নেই যেখানে ইউরোপের মতো এত বেশি যুদ্ধ হয়েছে। ইউরোপ হচ্ছে যুদ্ধের একটি উৎপত্তিস্থল। সেখান থেকেই দুটি বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়েছিল এবং গোটা বিশ্বকে ব্যস্ত রেখেছিল। এর ফলে কোটি কোটি মানুষ নিহত হয়েছে।
তিনি বলেন, ইরানের ইসলামি বিপ্লবের স্নোগানগুলো দেশের স্বার্থে। কেউ কেউ এটা তুলে ধরতে চায় যে, ইসলামি বিপ্লব ইরানের জন্য সমস্যা সৃষ্টি করেছে। এটা ঠিক নয়। এর বিপরীতটাই সঠিক। ইসলামি বিপ্লব এবং এর লক্ষ্য-আদর্শের প্রতি গুরুত্ব দেওয়ার মধ্যেই দেশের সমস্যার সমাধান নিহিত রয়েছে।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী আরও বলেন, খোররামশাহর মুক্ত করার মধ্যদিয়ে এক তিক্ত সমীকরণকে মধুর সমীকরণে পরিবর্তন করা হয়েছে। এর ফলে ইরানি জাতি মুক্তি পেয়েছে। এই মুক্তির পেছনে কাজ করেছে ইরানি জাতির জিহাদ, আত্মত্যাগ, দৃঢ় সংকল্প, কর্মোদ্যোগ। আর এসবের শীর্ষে রয়েছে ইখলাস ও আল্লাহর ওপর নির্ভরতা।
গত ২৪ মে ছিল খোররামশাহর মুক্ত দিবস। ১৯৮২ সালের এই দিনে ইরাকের সাদ্দাম বাহিনীর হাত থেকে খোররামশাহরকে মুক্ত করতে সক্ষম হন ইরানি যোদ্ধারা।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা বিশ্ব পরিস্থিতির প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, পারমাণবিক শক্তিধর দেশগুলোর বৈরী প্রতিযোগিতা, যুদ্ধের উৎপত্তিস্থল হিসেবে পরিচিত ইউরোপে সামরিক তৎপরতা, নজিরবিহীনভাবে বিশ্বব্যাপী একটি রোগের বিস্তৃতি, খাদ্য ঘাটতির আশঙ্কা- এসবই বিশ্বব্যাপী রাষ্ট্র পরিচালনাকে আরও জটিল করে তুলেছে। এ অবস্থায় দেশের নেতাদেরকে তাদের করণীয় ভালোভাবে বুঝতে হবে।
সর্বোচ্চ নেতার সঙ্গে এই বৈঠকে সংসদ স্পিকার মোহাম্মাদ বাকের কলিবফ বর্তমান সংসদের গত দুই বছরের নানা কার্যক্রম তুলে ধরেন। সূত্র: পার্সটুডে
.