রায়িসি ও শেখ হাসিনার টেলিফোন সংলাপ
ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের প্রেসিডেন্ট সাইয়্যেদ ইব্রাহিম রায়িসি ফিলিস্তিন ইস্যুতে সমর্থন দেয়া এবং ইহুদিবাদী ইসরাইলের আগ্রাসন বিশেষ করে আল-আকসা মসজিদে তাদের নৃশংস কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানানোর জন্য মুসলিম দেশগুলোকে ঐক্যবদ্ধ অবস্থান গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।
ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের প্রেসিডেন্ট সাইয়্যেদ ইব্রাহিম রায়িসি ফিলিস্তিন ইস্যুতে সমর্থন দেয়া এবং ইহুদিবাদী ইসরাইলের আগ্রাসন বিশেষ করে আল-আকসা মসজিদে তাদের নৃশংস কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানানোর জন্য মুসলিম দেশগুলোকে ঐক্যবদ্ধ অবস্থান গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।
প্রেসিডেন্ট রায়িসি বলেন, ৭০ বছরেরও বেশি সময় ধরে দখলদার ইসরাইলি সেনাদের বুটের তলায় ফিলিস্তিনি জনগণের অধিকার পদদলিত হচ্ছে এবং আন্তর্জাতিক সমাজের নীরবতার সুযোগে ইসরাইলি কর্মকর্তারা দিন দিন আরও বেপরোয়া হয়ে উঠছে। ইরানের প্রেসিডেন্ট রায়িসি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে টেলিফোন সংলাপে এসব কথা বলেছেন।
একই সাথে তিনি পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বাংলাদেশের সরকার ও জগণকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেছেন, বিশ্বের সব দেশ বিশেষ করে মুসলিম দেশগুলোর সাথে সম্পর্ক আরো ঘনিষ্ঠ করা ইরানের পররাষ্ট্র নীতির প্রধান লক্ষ্য। ইরান ও বাংলাদেশের মধ্যে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরো বাড়বে বলে প্রেসিডেন্ট রায়িসি আশা প্রকাশ করেছেন।
এই টেলিফোন সংলাপে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও টেলিফোন করার জন্য ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসিকে ধন্যবাদ দেন। বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক সম্প্রসারণ ও সুসংহত করতে যোগাযোগ বাড়ানোয় ইরানের নতুন প্রশাসনের প্রশংসা করেন শেখ হাসিনা। একই সাথে সৌদি আরবের সঙ্গে ইরানের কুটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপনকে স্বাগত জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই পদক্ষেপ একটি সফল কুটনৈতিক তৎপরতা দৃষ্টান্ত এবং এটি পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চল ও এর বাইরেও বৃহত্তর আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার দিকে নিয়ে যাবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোজাদার ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরাইলি সেনাদের নৃশংস ও বর্বরোচিত আগ্রাসনের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, নির্যাতিত ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি সমর্থন এবং ইসরাইলি আগ্রাসনের নিন্দা জানানোর নীতিতে বাংলাদেশের সরকার ও জনগণ অবিচল রয়েছে। ইরানের সাথে সম্পর্ক উন্নয়নের গুরুত্বের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার এবং আঞ্চলিক সহযোগিতাকে কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।
এ ছাড়া, দুই দেশের ব্যবসায়িক সংগঠনগুলোর মধ্যে একটি যৌথ বিজনেস কমিশন (জেবিসি) গঠন এবং যৌথ ইকোনোমিক কমিশনের নিয়মিত বৈঠকের ওপর গুরুত্বারোপ করেন প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশের উৎপাদন সক্ষমতার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করে শেখ হাসিনা বলেন, সাশ্রয়ী মূল্যে গুণগত মানের আমদানির জন্য বাংলাদেশ একটি উৎস হতে পারে। #
পার্সটুডে
.