ইরান ও চীন দুঃসময়ের বন্ধু; সম্পর্ক আরো শক্তিশালী হবে: রায়িসি
ইরান ও চীনকে ‘দুঃসময়ের বন্ধু’ বলে মন্তব্য করেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট সাইয়্যেদ ইব্রাহিম রায়িসি। তিনি বলেছেন, দু’দেশের মধ্যে সম্পর্ক ও সহযোগিতা শক্তিশালী হলে তা আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠায় সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
তিনি গতকাল (মঙ্গলবার) বেইজিং-এ স্বাগতিক দেশের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-এর সঙ্গে এক বৈঠকে এ মন্তব্য করেন। অর্থনৈতিক, বাণিজ্যিক, বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে দু’দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরো শক্তিশালী করার পাশাপাশি বেইজিং ও তেহরানের মধ্যে স্বাক্ষরিত ২৫ বছর মেয়াদি কৌশলগত সহযোগিতা চুক্তি বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন প্রেসিডেন্ট রায়িসি। তিনি আঞ্চলিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য ২৫ বছর মেয়াদি চুক্তিকে ‘নিয়ামক শক্তি’ বলে মন্তব্য করেন।২০২১ সালে দু’দেশের মধ্যে ওই চুক্তি সই হয়েছিল।
ইরানের বেসামরিক পরমাণু কর্মসূচিকে অজুহাত হিসেবে দাঁড় করিয়ে বিগত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে তেহরানের সঙ্গে চরম বিদ্বেষী আচরণ করে যাচ্ছে পাশ্চাত্য। অন্যদিকে সম্প্রতি আমেরিকার আকাশে বেলুন ওড়ার ঘটনায় চীনকে দোষী করছে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন। এ অবস্থায় পাশ্চাত্যের দুই চক্ষুশূল ইরান ও চীনের মধ্যে সম্পর্ক শক্তিশালী করার লক্ষ্যে প্রেসিডেন্ট রায়িসি চীন সফর করছেন।
তিনি জিনপিং-এর সঙ্গে বৈঠকে এ সম্পর্কে বলেন, শত্রুদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে ইরান ও চীন নিজেদের মধ্যে সম্পর্ক শক্তিশালী করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তিনি এ উদ্যোগ গ্রহণ করার জন্য দু’দেশের উদ্যোক্তা ও আয়োজকদের ধন্যবাদ জানান। প্রেসিডেন্ট রায়িসি তার দেশের স্বাধীনতা ও ভৌগোলিক অখণ্ডতার প্রতি সমর্থন জানানোয় চীনের প্রেসিডেন্টকে ধন্যবাদ জানান।#
পার্সটুডে
.