ইরান একটি শক্তিশালী, টেকসই ও নির্ভরযোগ্য চুক্তি চায়: শামখানি
ইরানের সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের সচিব আলী শামখানি বলেছেন, তার দেশ পরমাণু ইস্যুতে পাশ্চাত্যের সঙ্গে একটি শক্তিশালী, টেকসই ও নির্ভরযোগ্য চুক্তি চায়।
ইরানের সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের সচিব আলী শামখানি বলেছেন, তার দেশ পরমাণু ইস্যুতে পাশ্চাত্যের সঙ্গে একটি শক্তিশালী, টেকসই ও নির্ভরযোগ্য চুক্তি চায়।তিনি শনিবার বিকেলে তেহরান সফররত ইউরোপীয় ইউনিয়ন বা ইইউ’র পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান কর্মকর্তা জোসেপ বোরেলের সঙ্গে বৈঠকে তার দেশের এ অবস্থান ঘোষণা করেন।
বোরেল পাশ্চাত্যের সঙ্গে ইরানের স্থগিত হয়ে যাওয়া ভিয়েনা সংলাপ আবার চালু করার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে শনিবার তেহরান সফর করেন। তিনি এই সংলাপে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করছেন।
তার সঙ্গে সাক্ষাতে শামখানি আমেরিকার প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ এবং ইউরোপীয় দেশগুলোর নিষ্ক্রিয় ভূমিকার সমালোচনা করে বলেন, পাশ্চাত্যের এসব নেতিবাচক কর্মকাণ্ডের কারণে ইরান তার পরমাণু তৎপরতার গতি বাড়িয়েছে। তিনি সাফ জানিয়ে দেন, পশ্চিমারা তাদের প্রতিশ্রুতিতে ফিরে না আসা পর্যন্ত তেহরান কোনো অবস্থায় তার আগের অবস্থানে ফিরে যাবে না।
ইরানের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা কর্মকর্তা বলেন, ভিয়েনায় চুক্তি হতে হবে ইরানের ওপর থেকে সব নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার ও ইরানের অর্থনৈতিক স্বার্থ রক্ষা করার জন্য।এই দু’টি লক্ষ্য বাস্তবায়ন হওয়ার সম্ভাবনা না থাকলে তেহরান পাশ্চাত্যেল সঙ্গে আর কোনো চুক্তিতে যাবে না বলেও ইরানের অবস্থান স্পষ্ট করেন শামখানি।
তিনি বলেন, আমেরিকা আলোচনার একই সময়ে নিষেধাজ্ঞা আরোপ ও হুমকি দিয়ে ইরানকে বাগে আনার চেষ্টা করেছে। কিন্তু যে ইরানি জনগণ কঠিনতম নিষেধাজ্ঞার সময়কে প্রবলভাবে প্রতিরোধ করেছে সেই জনগণের সঙ্গে আর হুমকির ভাষায় কথা বলা যাবে না।
সাক্ষাতে ইরানের পরমাণু সমঝোতা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার কারণে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমালোচনা করে বোরেল বলেন, ভিয়েনায় একটি চুক্তি সই করার জন্য পেছনের দিকে না তাকিয়ে আমাদেরকে সামনের দিকে অগ্রসর হতে হবে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের প্রশাসন ভিয়েনায় একটি চুক্তি সই করে পরমাণু সমঝোতায় ফিরতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে বলেও দাবি করেন ইইউর এই শীর্ষ কর্মকর্তা। সূত্র: পার্সটুডে
.