ইউক্রেনে ব্যবহার করার জন্য রাশিয়াকে কোনো অস্ত্র দেয়নি ইরান
রাশিয়া ইউক্রেনে ‘ইরানে তৈরি ড্রোন’ দিয়ে হামলা চালাচ্ছে বলে গত কয়েকদিন ধরে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে ব্যাপক প্রচারণা চলছে।
রাশিয়া ইউক্রেনে ‘ইরানে তৈরি ড্রোন’ দিয়ে হামলা চালাচ্ছে বলে গত কয়েকদিন ধরে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে ব্যাপক প্রচারণা চলছে। এমনকি ইউক্রেন সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকেও বিবৃতি দিয়ে এ ধরনের দাবি করা হচ্ছে। কিন্তু ইরানের সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ এ খবরের সত্যতা অস্বীকার করে বলেছে, ইউক্রেনে ব্যবহার করার জন্য এখন পর্যন্ত ইরান রাশিয়াকে কোনো সমরাস্ত্র দেয়নি।
এই পরিষদের ঘনিষ্ঠ বার্তা সংস্থা নূর নিউজের অফিসিয়াল টুইটার পেজে প্রকাশিত এক খবরে বলা হয়েছে, ইরানের ওপর থেকে জাতিসংঘের আরোপিত নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পর এদেশের সমরাস্ত্র রপ্তানিতে এখন আর কোনো বাধা নেই। কিন্তু তা সত্ত্বেও রাশিয়াকে ইউক্রেনে হামলা চালানোর জন্য কোনো সমরাস্ত্র তেহরান মস্কোকে দেয়নি।
সম্প্রতি ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান কর্মকর্তা জোসেপ বোরেল, ফ্রান্সের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এবং জার্মানি, ডেনমার্ক, অস্ট্রিয়া ও ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা আলাদা আলাদা বক্তব্যে দাবি করেন, রাশিয়া সম্প্রতি ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে হামলার কাজে যে ড্রোন ব্যবহার করেছে তা ইরানে নির্মিত। এসব পশ্চিমা দেশের কর্মকর্তারা হুমকি দিয়ে বলেন, যদি রাশিয়াকে ইরানের পক্ষ থেকে ড্রোন সরবরাহের বিষয়টি প্রমাণিত হয় তাহলে তেহরানের ওপর আরো বেশি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে।
এ সম্পর্কে নূর নিউজের টুইটার বার্তায় বলা হয়েছে, “ফ্রান্স ইউক্রেন যুদ্ধে ইরানকে সংশ্লিষ্ট করার মাধ্যমে একথা বলার চেষ্টা করছে যে, ইরান জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের ২২৩১ নম্বর প্রস্তাব লঙ্ঘন করছে যেটি পরমাণু সমঝোতা বাস্তবায়নের সঙ্গে সম্পর্কিত। প্যারিস এর মাধ্যমে পরমাণু সমঝোতা পুনরুজ্জীবনের আলোচনায় অচলাবস্থার জন্য ইরানকে দায়ী করতে চায়। অথচ ইরান ইউক্রেনে ব্যবহারের জন্য রাশিয়াকে কোনো অস্ত্র দেয়নি এবং একইসঙ্গে নিরাপত্তা পরিষদের ২২৩১ নম্বর প্রস্তাব অনুসারে ২০২২ সালের অক্টোবর থেকে ইরানের ওপর আরোপিত অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা উঠে গেছে।”# পার্সটুডে
.